Wellcome to National Portal
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ মে ২০২৪

ইতিহাস ও কার্যাবলি

ইতিহাস:

অবিভক্ত ভারতবর্ষের অন্তর্গত এই বাংলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল মূলতঃ নৌপথ কেন্দ্রিক। সে সময়ে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল অপ্রতুল। ব্রিটিশ ভারতের উপনিবেশিক শাসকগণ ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর তারিখে দর্শনা হতে জগতি পর্যন্ত ৫৩.১২ কিলোমিটার রেলপথ চালুর মাধ্যমে সর্বপ্রথম ব্রিটিশ ভারতে আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থার সূচনা করে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ১৮৮৫ সালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং ১৮৯৫ সালে চট্টগ্রাম-কুমিল্লা ও লাকসাম-চাঁদপুর পর্যন্ত রেলওয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হয়। ১৯৪২ সালে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের শেষ পর্যায়ে বাংলা থেকে আসাম পর্যন্ত রেলপথ চালু হয়, যা পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে হিসেবে নামকরণ করা হয়। নদী বিধৌত এই বাংলায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্মাণ করা ছিল অত্যন্ত কঠিন ও ব্যয়বহুল। সর্বপ্রথম ঢাকা হতে সংগ্রামগড় (ধারণা করা হয় এটি নোয়াখালী জেলাধীন ছিল) পর্যন্ত উঁচু বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে সড়ক নির্মাণ করা হয়। ব্রিটিশ কোম্পানী শাসক মূলতঃ সামরিক ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর যাতায়াত, ডাক যোগাযোগ এবং পণ্য পরিবহনের জন্য সড়কপথ ও রেলপথ চালু করে। পরবর্তীতে ১৮৭০-৭১ সালে কোলকাতা কেন্দ্রিক সড়কপথ নির্মাণ করা হয় এবং দার্জিলিং, বহরমপুর, ভগবানগোলা, গোদাগাড়ী, দিনাজপুর, শিলিগুড়ি, যশোর-ফরিদপুর, চট্টগ্রাম-কুমিল্লা-দাউদকান্দি পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়। ১৯৩৪ সালে যানবাহনের ধরন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যানবাহনের বৃদ্ধির মাত্রা ইত্যাদি বিবেচনায় পরিকল্পিত সড়ক নির্মাণ শুরু করা হয়। ১৯৪৭ সালে অবিভক্ত ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে জন্ম নেয় পূর্ব পাকিস্তান। সে সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে মাত্র ৪৮০ কিলোমিটার সড়ক ছিল। গণপূর্ত বিভাগ, ডিস্ট্রিক বোর্ড ও ইউনিয়ন বোর্ড সে সময়ে সড়ক, কালভার্ট ও সেতু নির্মাণে নিয়োজিত ছিল। ১৯৬০ সালের শেষ দিকে জেলা শহরসমূহের সাথে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করার নিমিত্ত আরো সুপরিকল্পিতভাবে সড়ক নির্মাণ করা শুরু হয়। পরবর্তীতে, ১৯৬২ সালে কনস্ট্রাকশন এন্ড বিল্ডিং (সি এন্ড বি) বিভক্ত হয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয়। এই অধিদপ্তরের আওতায় মাঠপর্যায়ে সড়ক নির্মাণ কাজ পরিচালিত হয়। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধস্ত বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজ-কালভার্ট পুনর্গঠন এবং দেশব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের কার্যক্রম হাতে নেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেটের উল্লেখযোগ্য অংশ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখেন। এ সময়ে প্রণীত প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। জাতির পিতার সুদৃঢ় নেতৃত্বে ঐ সময়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে বিধস্ত প্রায় সকল ব্রীজ পুনঃনির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৭৩ সালে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার সৃষ্টির লক্ষ্যে রেলওয়ে বোর্ডকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে রেলপথ বিভাগ এবং ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে অথরিটি গঠিত হয়। ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সড়ক ও রেলপথ বিভাগ সৃজন করা হয়। পরবর্তীতে, বৃহৎ সেতু নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে মার্চ ২০০৮ সালে সেতু বিভাগ গঠিত হয়। সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আওতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১১ সালে পৃথক রেলপথ বিভাগ, সেতু বিভাগ এবং সড়ক বিভাগ সৃষ্টি করা হয়। পরবর্তীতে, ২০১৪ সালে সড়ক বিভাগের নাম পরিবর্তন করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। বর্তমানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন সেক্টরের কার্যক্রম পরিচালনায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

 

 

কার্যাবলি:

 

Allocation of Busmess of The Different Ministries and Divisions (Revised up to July 2017) অনুযায়ী সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কার্যাবলী নিম্নরূপ:

 

  • সড়ক ও সড়ক পরিবহন এবং বিআরটি-এর ন্যায় অন্যান্য সড়ক-সম্পর্কিত পরিবহন সংশ্লিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন;
  • মাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (MRT) সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন;
  • জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক, জেলা সড়ক, ব্রিজ, কালভার্টসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং বিআরটি ইত্যাদির নায়ে সড়ক সংশ্লিষ্ট পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ;
  • মাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (MRT) এর নির্মাণ, উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ।
  • (ক) সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (আরএইচডি) (খ) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) (গ) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবং (ঘ) ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), (৩) ঢাকা মাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভলপমেন্ট কোম্পানী (ডিএমটিসিএল) এবং (চ) ঢাকা বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড (ডিবিআরটিসিএল) সংক্রান্ত কার্যাবলী।
  • সড়ক পরিবহন সেক্টরে সমন্বয় সাধন:
  • সড়ক পরিবহন সেক্টরে পর্যবেক্ষণমূলক কার্যক্রম, জরিপ পরিচালনা করা এবং যান্ত্রিকভাবে চালিত যানবাহনের বাধ্যতামূলক বীমা সংক্রান্ত কার্যক্রম:
  • সড়ক পরিবহন সেক্টরের উন্নয়ন ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য নিয়োজিদ পরিবহন প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় এবং এতদসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য প্রচারমূলক কাজ।
  • বিসিএস (সড়ক ও জনপথ) ক্যাডার-এর প্রশাসনিক বিষয়।
  • সড়ক ও সড়ক পরিবহন সংক্রান্ত উন্নয়ন ও বিনিয়োগ কর্মসূচি এব। এ খাতের রাজস্ব বাজেট সংক্রান্ত বিষয়াবলী:
  • নিরাপত্তার মান নির্ধারণ এবং প্রয়োগ,
  • আর্থিক বিষয়সহ সচিবালয় প্রশাসন।
  • এ বিভাগের অধীনস্থ অফিস ও সংস্থার প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রণ।
  • এ বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সাধে যোগাযোগ এবং অন্যান্য দেশ এবং বিশ্ব সংস্থাগুলির সাথে চুক্তি এবং চুক্তি সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে কার্যক্রম:
  • এ বিভাগের আওতাধীন আইন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াবলী:
  • এ বিভাগের জন্য নির্ধারিত/বন্টনকৃত যে কোনো বিষয়ে অনুসন্ধান করা এবং পরিসংখ্যান সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা।
  • আদালতে নেওয়া ফি ব্যতীত এই বিভাগের কার্যক্রমের সাথে সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ের জন্য ফি এবং টোল আদায়।
  • ভূপৃষ্ঠের নীচে ও নদীর তলদেশে ১৫০০ মিটার পর্যন্ত টানেল নির্মাণ।